ই-কমার্সসহ বিভিন্ন ‘হায় হায় কোম্পানির’ অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে
ই-কমার্সসহ বিভিন্ন ‘হায় হায় কোম্পানিতে’ প্রতারিত মানুষের লুট হওয়া অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতারকদের উপযুক্ত শাস্তির পাশাপাশি এসব অর্থ উদ্ধার হলে তা পাওনাদারদের ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সোমবার (০৪ অক্টোবর) বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ই-কমার্স ও এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা ও লাখো মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের দুঃসময়ে কিছু প্রতারক তাদের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। যখন এসব ‘হায় হায় কোম্পানি’ তৈরি হয়, আপনারা (গণমাধ্যম) একটু সচেতন করলে মানুষ আর বিপদে পড়ে না। আমরা চেষ্টা করবো তাদের (প্রতারিতদের) টাকা হাতে পৌঁছে দিতে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকার যে ঘর উপহার দিয়েছে, সে সবের কিছু ধসে পড়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে নয়টি জায়গায় দুর্নীতি পেয়েছি। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে দেড় লাখ ঘর দেওয়া হলো। এগুলোর সবগুলোই কি ভেঙে পড়েছে নাকি কেউ ভেঙেছে?’ প্রজেক্টরে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু ঘরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙেছে। আপনারা বিষয়টি একটু ভালো করে দেখেন, খোঁজ নেন। আপনারা এটা খুঁজে বের করলেন না, কারা এটা ভাঙলো। করোনাকালে ঘরগুলো তৈরির ফলে এতো মানুষের কাজের সুযোগ হলো, সেটাও দেখলেন না। আমি কি জানতে পারি কেন আপনারা এটা দেখেননি?’ এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘৩০০টা ঘর কিছু মানুষ নিজে থেকে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙে তারপরে মিডিয়ায় সেগুলোর ছবি তুলে ফেলছে। যারা ভেঙেছে, তদন্তে তাদের সবার নাম বের করা হয়েছে।’